এক নজরে : বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত ১১টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বর্ণাঢ্য ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও বিকাশ সাধন এবং সকল সংস্কৃতিকে দেশের জাতীয় সংস্কৃতির মূল স্রোতধারার সহিত সম্পৃক্তকরণের উদ্দেশ্যে ১৯৭৮ সালে সর্বপ্রথম রাঙ্গামাটিতে উপজাতীয় সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট (বর্তমান নাম- ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট) প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রথমে এই প্রতিষ্ঠানটি পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের নিয়নত্রনাধীন ছিল। বিগত ১৯৮১ সালে অত্র ইনস্টিটিউটকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ন্যস্ত করা হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ইনস্টিটিউট তাঁর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পূরণে কাজ করে যাচ্ছে। বিগত ০১ মে ১৯৯৩ সালে অত্র ইনস্টিটিউটকে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদের নিকট হস্তান্তর করা হয়। অত:পর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহান জাতীয় সংসদে গত ১২ এপ্রিল ২০১০খ্রি: তারিখ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আইন-২০১০ পাস হয়। এই আইনের অধীনে ইনস্টিটিউট একটি সংবিধিবদ্ধ স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে রুপলাভ করে। আইনের আলোকে ইনস্টিটিউটের বর্তমান নাম ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট, রাঙ্গামাটি নামে অভিহিত হয়। বর্তমানে ইহা সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত দপ্তর এবং রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের নিকট হস্তান্তরিত একটি বিভাগ হিসাবে পরিচালিত হচ্ছে। রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম প্রধান সড়কের পাঁশে ভেদভেদী নামক স্থানে ৭.৬৫ একর জমির উপর এই ইনস্টিটিউট অবস্থিত। ইনস্টিটিউটের দুইতলা বিশিষ্ট ০১টি প্রশাসনিক ভবন, ত্রিতলবিশিষ্ট দৃষ্টিনন্দন ০১টি জাদুঘর ভবন, ০১টি ত্রিতলবিশিষ্ট ট্রেনিং সেন্টার কাম আর্টিস্ট হোস্টেল ভবন এবং ২৫০ আসন বিশিষ্ট ০১টি অডিটরিয়াম রয়েছে। ইনস্টিটিউটের ০৪টি শাখা রয়েছে। শাখা গুলি হল- (১) প্রশাসন ও অর্থ শাখা (২) সংস্কৃতি শাখা (৩) গবেষণা ও প্রকাশনা শাখা এবং (৪) জাদুঘর ও লাইব্রেরী শাখা। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আইন-২০১০ এর ৬ এবং ৭ ধারা মোতাবেক সরকার কর্তৃক ইনস্টিটিউটের সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ০৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি নির্বাহী পরিষদ অনুমোদিত হয়েছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস